আরও ভয়ঙ্কর মাদকের- ভয়ঙ্কর এবং ক্ষতিকর মাদক এনপিএস (নিউ সাইকোট্রফিক সাবসটেনসেস) পাচারের রুট এখন বাংলাদেশ। আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে মাদকটি পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশকে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, নতুন এই মাদকটি দেখতে অনেকটা চা পাতার গুঁড়োর মতো। পানির সঙ্গে মিশিয়ে তরল করে এটি সেবন করা হয়। সেবনের পর মানবদেহে এক ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি করে। অনেকটা ইয়াবার মতো প্রতিক্রিয়া হয়। এক ধরনের গাছ থেকে তৈরি হওয়া এই মাদক ‘খ’ ক্যাটাগরির। সম্প্রতি আফ্রিকান দেশ ইথিওপিয়া থেকে বাংলাদেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পথে মাদকের চালান আটকের পর বিষয়টি সম্পর্কে জানা যায়। এটি ‘গ্রিন টি’র মতো প্যাকেটে আনা হয়। দেশে আনার পর আবার নতুনভাবে প্যাকেট করে বিদেশে পাঠায় পাচারকারীরা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মাদকটি ইয়াবার চেয়ে আরও বেশি ক্ষতিকর। যারা এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাদের ইতোমধ্যে চিহ্নিত ও গ্রেফতার করা হয়েছে।
আশা করছি, এই মাদক তারা আর বাংলাদেশে আনতে পারবে না। ইতোমধ্যে বিমানবন্দরে এ ব্যাপারে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।’ এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এটা বাংলাদেশে ব্যবহার বা বিস্তার হওয়ার আগেই ধরা পড়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে আরো সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। যাতে এই মরণ নেশা বাংলাদেশে আর না ঢুকতে পারে।’
ইথিওপিয়া থেকে ২৭ আগস্ট কার্গো বিমানে করে এনপিএস বাংলাদেশে আসবে- এ তথ্য পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় ছিল। এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে ৪৬৬ কেজি ওজনের মাদকের চালান জব্দ করা হয়। চালানটি আনতে বিমানবন্দর যাওয়া নাজিম নামে এক ব্যক্তিকে আটকও করা হয়। তাকে নিয়ে শান্তিনগর এলাকার শান্তিনগর প্লাজার দ্বিতীয় তলায় নওশিন এন্টারপ্রাইজে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় আরো ৪০০ কেজি এনপিএস। এর আগে আরো দুইবার এই মাদকের চালান দেশে আনার পর বিদেশে পাচার হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।